♥EX যখন অফিসের বস♥
,,,,,,,,,,,,,,,
লেখক: জিন্দা লাস
,,,,,,,,,,,,,,,
পর্ব: শেষ
,,,,,,,,,,,,,,,
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
:::::::::::::::
ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে ঠিক সময়ে অফিসে গেলাম
।গিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে আর এখন সিনিয়রদের কাজ করতে করতে আমারও অভ্যাস হয়ে গেছে তাই খুব ভালোই লাগছে,,,
একটু পড় অনামিকা এসে আমাকে তার কেবিনে ডেকে গেল তাই আমি একটু পড় অনামিকার কেবিনে গেলাম
আমি:- মেডাব আসব
অনামিকা:- হুম
:- জি মেডাম বলেন
:- ঠাস ঠাস ঠাস,
:- মাড়লেন কেনো
:- আমাকে কিছুই বললে না কেনো
:- কি বলব
:- আর নাটক করতে হবে না আপরিন আমিকে সব বলেছ।:- কি বলছেন আপনি মেডাম।আমি তো কিছুই বুঝতে পাড়ছি না
:- আর কিছুই তোমাকে বুঝতে হবে না
একথা বলেই অনামিকা আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে একা কিস করল
আমি:- আরে মেডাম কি করছেন
অনামিকা: ঠিক এ কনছি
:- আপনি যদি এমন করেন তাহলে আমি প্রায়োজন হলে নিজের কিডনি বিক্রি করে আপনার চালাকি করা ১০০০০০ টাকা দিয়ে দিব
:- ওই চুপ কর
:- মেডাম আপনি বড় লোকের মেয়ে আর আমি গরিব ঘরের সন্তান আপনার বাবা আমাকে এ কথা বলেই আপনার জিবন থেকে চলে যেতে বলেছে.আর আপনার সাথে আমার কখনোই বিয়ে হত না আর এখনো হবে না কারন আপনার বাবা এটা কখনোই মেনে নিবে না।
অনামিকা: নিল একটা কথা বলব ( কান্না জরিত কন্ঠে)
আমি: হুম বলেন
অনামিকা: আজ থেকে ৫৬ দিন আগে বাবা মা গাড়ি একসিডেন্টটে মারা গেছে
অনামিকার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে আছি।
অনামিকার : জানো আমি খুব কষ্টে আছি। আমিও যদি মরে যেতাম বাবা মার সাথে।
,,,,,,,,,,,,,,,
একথা বলতেই আমি অনামিকা কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে
আমি: সরি জান
অনামিকা: আমিও সরি জান
এরপড় অনামিকার কপালে একটা আদর দিয়ে আবার ওকে শক্ত করে জরিয়ে দরে দুজনে কেদে ফেললাম
আমি: এ পগলি
অনামিকা: কিরে পাগলা
:- এখন কান্না থামাও
:-হুু
:- অনামিকা আজকে অফিস ছুটি দিয়ে দাও
:- কেনো
:- আজকে তোমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাব
:- বিয়ের আগেই শশ্বুড় বাড়ি যাব
:- হুমতারপর অনামিকা অফিস ছুটি দিয়ে আমাক রহমত চাচার মাধ্যমে ওর কেবিনে যেতে বলল।এরপর আমি অনামিকার কেবিনে গেলাম
অনামিকা: মহারাজ চলেন
আমি: আজ দীর্ঘ ২ বছর পর তোমাকে কাছে পেলাম
:- হুম। তা এখন আপনি কি করতে চান
:- না মানে একটি আদর আরকি
:- না
:- কেনো
:- যত খুশি বিয়ের পড়
:- ওকে (মন খারাপ করে)
এর পড় অনামিকা য করল তা দেখে তো আমি অবাক
কারন অনামিকা আমার ঠোটে ছোট্ট করে একটা পাপ্পি দিয়ে বলল এবার চলবে
আমি: হুম
অনামিকা: ওকে এখন তাহলো যাওয়া যা
আমি: হুম
এরপর আমি আর অনামিকা আমাদের বাসায়চলে আসলাম
মা: বাবা মেয়েটা কে
আমি : মা ওনি আমার অফিসের মালিক
অনামিকা:- আসসালামুআলাইকুম
মা: ওয়ালাইকুমআসসালা
অনামিকা: কেমন আছেন আন্টি
মা: হুম মা ভালো আছি।তোমার মা বাবা কেমন আছে
অনামিকা:।......
মা: কি হলো মা
আমি:- আসলে মা ওনার মা বাবা সবাই ওপাড়ে চলে গেছে
একথা শুনে মা অনামিকাকে বুকে টেনে
মা: কে বলেছে ওর মা নেই।আজ থেকে আমিই ওর মা।আজ থেকে তুমি আমাকে মা বলে ডাকবে।মা একথা বলার সাথে সাথে অনামিকা মাকে জরিয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করে দিলো
মা: কাদিও না মা।আমি তো তোর মা
অনামিকা: হুম
কিছুখন পর যকন অনামিকা শান্ত হল
মা: নিল তুই আর তোর মেডাম গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয়।
আমি: জি মা
অনামিকা:মা একটা কথা বলব
মা: হুম মা বলো
অনামিকা: মা আমি নিল এর মেডাম ঠিক আছে কিন্তু আমরা একে অপরকে ভালোবাসি
মা: মা এটা তো হয় না
অনামিকা: কেনো মা
মা: তোমরা অনেক ধনি কিন্ত আমরা
অনামিকা: মা ভালোবাসা ধনি গরিব দেখে হয় না
মা: ঠিক আছে।তোরা যা ভালো মনে করিস কর
অতপর আমরা ফ্রেস হয়ে এসে খেতে বসলাম
বাবা: অনামিকা
অনামিকা: জি বাবা
বাব: তোমাদের তো বিয়ের বয়স হয়ে গেছে.তাই সামনের শনিবার তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেই
অনামিকা: বাবা আপনারা যা ভালো মনে করেন।
বাবা: তোমার কি তেমন কোনো আত্বিয় আছে
অনামিকা: না বাবা
বাবা: তাহলে এখানেই তোমাদের বিয়ে হবে
অবশেষে শুক্রবার ঘরোয়া ভাবেই আমাদের বিয়ে হয়ে গেল।সকল নিয়ম কানুন শেষ করে বাসর ঘরে ডুকলাম।ডুকার সাথে অনামিকা আমার পায়ে সালাম করল।আমি ওকে পা থেকে তুলে নিয়ে আমার বুকে জায়গা দিয়ে কপালে একটা আদর দিয়ে বললাম চলো এখন দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করি।
নামাজ শেষ করে অনামিকা বলল
:- চলো বেলকুনিতে যাব
:- ওকে
:- আমার না পা ব্যাথা করছে
:- হাহা।পাগলি বললেই তো হয় কোলে নিতে হবে
:- হুম
এরপর বেলকনিতে গিয়ে বসে
অনামিকা: ওই তোমাকে আনলাম চাদ দেখার জন্য আর তুমি দেখছ আমাকে
:- তুমি কি চাদের থেকে কম সুন্দর নাকি
:- হইছে আর বলতে হবে না
:- হুম
:- নিল
:- হুম
:- আমার একটা বেবি লাগবে
:- ও তাই
:- হুম
:- কি বেবি লাগবে
:- মেয়ে
:- নাম কি রাখবেন মেডাম
:- মনিষা আক্তার মৌ
:- ওকে চলো
:- কোথায়
:-মৌ কে আনার মিশনে যাব
:- পাগল একটা
:- হুম
এরপড় অনামিকাকে কোলে নিয়ে বিছানায় নিয়ে মৌকে আনার মিশনে গিয়ে দুজনে সুখের সাগরে ভাসতে লাগলাম
,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,
I love u Mau ar ammu
সমাপ্ত,,,,,,
0 মন্তব্যসমূহ